Social Icons

Levels

Featured Posts

Wednesday, March 30, 2016

বিশ্বাসের স্বাক্ষ্য(কালেমার স্বাক্ষ্য দেওয়া)

বর্ণনা: 
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসের সাক্ষ্য দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার উপর পুরো ধর্ম প্রতিষ্ঠিত থাকে।আমরা এখানে এর অর্থ এবং গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
রচনায়: আবুল বাশার

পাঠের উদ্দেশ্যসমূহ:
  1.   বিশ্বাসের স্বাক্ষ্য এর গুরুত্ব অনুধাবন
  2. বিশ্বাসের স্বাক্ষ্য এর অর্থ অনুধাবন
  3. আরবি শব্দের বাংলা অনুবাদ:
  4.   শাহাদাহ্: বিশ্বাসের স্বাক্ষ্য
  5.   আল্লাহ: আল্লাহ, স্রষ্টারএকটি নাম
  6. তাওহীদ: আল্লাহর একত্ব

ভূমিকা:
ইসলাম ধর্মের মূল দুই বাক্যাংশ থেকে যা প্রত্যয়ন হয়:
() লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (অর্থ ' আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই')
() মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (অর্থ 'মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল' (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

এটি দুটি বাক্যাংশ বা  shahadah(শাহাদাহ), বা বিশ্বাসের সাক্ষ্য হিসাবে পরিচিত হয় এই দুটি বাক্যাংশের প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি  ইসলামের অভ্যন্তরে  প্রবেশ করে এটা একটি কেন্দ্রীয় বিশ্বাস যেটি একজন বিশ্বাসী সারা জীবন বজায় রাখে, এবং তার বিশ্বাস, উপাসনা ও তার অস্তিত্বের ভিত্তিই হল এই কালেমা।
প্রতিটি মুসলিম এবং নওমুসলিম সহ এই দুটি বাক্যাংশের অর্থ বুঝতে হয় এবং সে অনুযায়ী তাদের জীবন যাপন করতে হয়।

কালেমার প্রতি স্বাক্ষ্য প্রদানের গুরুত্বঃ
কালেমার প্রতি সাক্ষ্য প্রদান এতই গুরুত্বপূর্ণ যে পুরো ইসলাম ধর্ম[1] এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। ইসলাম একমাত্র সত্য একেশ্বরবাদী ধর্ম যেখানে শুধু আল্লাহর ইবাদতের বা উপাসনার প্রতি জোর প্রদান করা হয়। এটা জীবনের একটা পথ যেখানে একজন ব্যক্তি তার আনুগত্য এবং উপাসনা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে দেয়না।

এই স্বাক্ষ্য বাক্যটি আমাদেরকে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় আল্লাহ কুরআনে বলেছেন:
আমি সৃষ্টি করেছি জিন্ এবং মানুষকে এজন্য যে, তারা শুধু আমারই ইবাদত করবে।[2]

তাওহীদের এই বাণী শুধুমাত্র মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য একক ভাবে ছিলনা।বরং এটা  সব নবীদের সার্বজনীন বার্তা ছিল। মানবতার শুরু থেকেই আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সকল নবী-রাসুলকেই পাঠিয়েছিলেন এই আদেশ দেওয়ার জন্য যে আমরা যেন এক আল্লাহর ইবাদত করি এবং মিথ্যা উপাস্যদের ত্যাগ করি। 
আল্লাহ বলেন:
“আল্লাহর ইবাদত করিবার ও তাগূতকে বর্জন করিবার নির্দেশ দিবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠাইয়াছি।”[3]

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ:
এই কালিমা বা শব্দগুচ্ছের প্রতিটি শব্দের অর্থ হল:
‘লা’ মানে- সেখানে নেই;  ইলাহ্ মানে- মাবুদ/দেবতা (diety); ইল্লা মানে- ব্যতীত/ছাড়া এবং আল্লাহ মানে  আল্লাহ (ঈশ্বর)
সুতরাং ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এই কালিমা বা এই শব্দগুচ্ছের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ বা উপাস্য নেই"
আর এই কালিমার দুটি অংশ। প্রথম অংশ হচ্ছে ‘লা-ইলাহা। এবং দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে ‘ইল্লাল্লাহ’।
চলবে----ইনশাআল্লাহ।






[1] ধর্ম বলতে এখানে জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে। মূলত ইসলাম কোন ধর্ম নয়, ইসলাম একটি জীবন ব্যবস্থা।
[2] সূরা যারিয়াত ৫১:৫৬
[3] সূরা নাহল ১৬:৩৬
 
 
Blogger Templates